White #আন্দোলন_আসলে_কিসের_বিষয়টা_পড়ুন:- আন্দোলন | বাংলা রাজনীতি Vide

"White #আন্দোলন_আসলে_কিসের_বিষয়টা_পড়ুন:- আন্দোলনটা দোষীদের শাস্তি প্রদানের,না মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার টলানোর,আসল বিষয় বস্তুটা কি?সেটা জানা গেলো না, আর নারী সুরক্ষা খায় না মাথায় দেয়, সেটাও বোঝা গেলো না,বলতে পারেন আমি গবেট,মাথা পেতে নিলাম।এত নারী আন্দোলনের মিছিল,নারীর প্রতি অন্যায়ের জন্যে,সেই সব আন্দোলনের মাঝে দেখছি, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবী, মুখ্যমন্ত্রীর অবমাননা সূচক লেখনি পত্রের বড়ো বড়ো হোডিং ফলক,এটা কি নারীর প্রতি অবমাননা নয়,কারণ আমরা তো সবাই জানি আমাদের এ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী একজন নারী।আর নারী সুরক্ষা বিষয়টা বিশেষ করে আমি মানি না,তার পেছনে একটা কারণ তো আছে,কে নারী কে পুরুষ সকলেই সমান,সকলে সাবলম্বী সব দিক দিয়ে আজকের দিনে এসে,তাই নারী বলে তাকে আলাদা চোখে দেখা হবে,এটা মানতে পারলাম না।সুরক্ষা যদি বলেন তাহলে সকলের জন্যে সমান সমান অধিকার চিরকাল এটাই আমি মনে করি।আলাদা করে আলোচিত করে, আন্দোলন করে নারী সুরক্ষা দাবী করা মানে নারীদের পিছিয়ে রাখা।আজ অনেক ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম,এক্স হ্যান্ডেলে এবং রাজপথে ,যে কোন রাস্তাঘাটে আর বিশেষ করে পাড়ায় পাড়ায় চায়ের দোকানে মেকি বিপ্লবীদের বার্তা আলাপ দেখছি, এখানে একটাই কথা আজকের মুখ্যমন্ত্রী অমানবিক,তাকে গদিচূ্্যত করতে হবে, নারীর প্রতি তার বিশেষ অবহেলা,এ রকমি বার্তা কিছু ছড়াচ্ছে।কেউ বলছে মুখ্যমন্ত্রীর যে বিশেষ প্রকল্প কন্যাশ্রী পরিত্যাগ করতে হবে,রূপ শ্রী পরিত্যাগ করতে হবে এবং লক্ষ্মীর ভান্ডার পরিত্যাগ করতে হবে,আসলে বাংলার মহিলারা এগুলো এক কথায় নেবে না।আজকে কেন নেবে না,তার কারণ আর.জি.কর হসপিটালে একটি ডাক্তারি পড়ুয়া মেয়ে জঘন্য ভাবে ধর্ষিত হয়ে খুন হয়েছে ,এটা সত্যি একটি মর্মান্তিক ঘটনা,এর জন্যে না লক্ষ্মীর ভান্ডারের কোন সম্পর্ক বা কন্যাশ্রী,রূপশ্রী, সবুজ সাথী,খাদ্য সাথী,না পূজো প্যান্ডেলের পঁচাশি হাজার অনুদানের,তবু কিছু মানুষ সরকারের প্রকল্প নিয়ে তীব্র প্রতিবাদে মুখর।এই প্রকল্প কারা নেবে না,কে নেবে না ,কত জন নেবে না বা তাদের কি নাম সেটা একবার জানতে পারলাম না ও শুনতে পারলাম না। কিন্তু কিছু মানুষ বলছে অর্থাৎ ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গিল্টি কিছু মানুষ,এরা কারা পরিষ্কার বললে বলবে ও তো দিদির গোলাম, কিন্তু সত্যটা বলেই ফেলি,এরা আর কেউ নয়,এরা সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস দলের দালাল ,সে নারী কিংবা পুরুষ।ওই যে আমি আগেই বলেছি একটি কথায়,এরা সমাজের কোন স্থান না পেয়ে, জনগণ দ্বারা বার বার বর্জিত হয়ে, উপায়হীন হয়ে পড়েছে, এখন এই মানুষ গুলো শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার জন্য লাগাতার আন্দোলন করছে,কেউ আমাকে নারী বিদ্বেষী বলতে পারে,তাতে আমার কিছু যায় আসে না।আসলে আমি নারী বিদ্বেষী না,আমি নারীদের যথেষ্ট সম্মান করি মানুষ হিসাবে, এতখানি সম্মান করি একজন পুরুষকেও, আমার কাছে আমার মা যেমন, আমার বাবা তেমন। ভালোবাসার এতোটুকু ভেদ নেই,সমান সমান।আর মুখ্যমন্ত্রীর পার্টির গোলাম বললে আমি গোলাম।যে সরকার বাংলার বুকে আসার পরে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কোন বাড়ির চালের হাঁড়ার দিকে তাকিয়ে দেখতে হয়নি আজকে চাল আছে কি না,তাকে ভাবতে হয়নি তার ছেলে কিম্বা মেয়ে উচ্চশিক্ষিত করার জন্য,কন্যা দায় গ্ৰস্ত পিতাকে ভাবতে হয় না কন্যার বিয়ের জন্য কারণ খাদ্য সাথী জন্যে সাধারণ মানুষের চালের হাঁড়া চালে পূর্ণ,এছাড়া কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, রূপশ্রী এ সবের জন্যে সাধারণ মানুষের ঘর হাঁসিখুশিতে মাতানো।করোনা কালে সকলের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল চাল, একেবারে বিনামূল্যে,যখন দেশ, জনজীবন মহামারীর ভয়ে স্তব্ধ তখন ছিল,এই মুখ্যমন্ত্রী সকলের পাশে, হ্যাঁ আমি তার গোলাম মানতে লজ্জা নেই।আজ আর .জি.করে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আমরা সকলে দুঃখিত তার জন্যে নারীরা রাত জাগো বলে একটি আন্দোলন করেছিল, হ্যাঁ এটা করতে পারে, মানুষের অধিকার মানুষের জন্যে পথ চলতে পারে,আমি পুরোপুরি সমর্থন করি, তাদের প্রতিবাদ আন্দোলনকে,কারণ দোষীরা শাস্তি পাক,এই বাক্য আমি আগেও বলেছি এবং বারবার বলছি। কিন্তু এই রাত জাগো আন্দোলনের মাঝে লুকিয়ে বা সরাসরি ছিল বড়ো মাপের একটি বিশেষ দলভিত্তিক নারী পুরুষের ষড়যন্ত্র, কিছু আন্দোলনকারী ছিল তারা বুঝতে পারনি ,তাই সেদিন আন্দোলনের নামে আর .জি.কর ভাঙচুর,এবং মুহুর্তের মধ্যেও সরকারকে প্রমাণ লোপাটের দোষারোপ,এ ষড়যন্ত্র সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি একত্রিত হয়ে,সারা রাত ধরে পুলিশকে মারধর গুন্ডামি, রক্তারক্তি করেছিল আন্দোলনের নামে, তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে কোন প্রকারণে কলঙ্কিত করা বাংলার আপামর বাঙালির কাছে।এখনো চেষ্টায় তারা ক্রটি রাখেনি, দিন রাত এক করে আন্দোলনের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বেশ ভালো, উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উনার নামে অপপ্রচার চালিয়ে কিছু হবে বলে, আমার মনে হয় না। এখানকার বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস উচ্চ লেভেলের নেতারা ভেবেছিল বাংলাদেশের মতো, পশ্চিমবাংলাকে করে ছাড়বে,পারেনি,তবু চেষ্টা তারা চালিয়ে যাচ্ছে। মহিলারা যারা আন্দোলন এখন শুধু করছেন মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে, তাদের আসলে গাত্র দাহ হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর নক্ষত্র উজ্জ্বল বিশ্বজুড়ে নাম দেখে,বাংলা চলচিত্রের একজন বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটক বলেছিলেন,এই পৃথিবীতে কোন মানুষ যদি বলে আমি রাজনীতি করি না , নিরপেক্ষ,এটা একদম ভুল কথা,কেউ সামনে ,কেউ পেছনে,কেউ অন্তরে অন্তরে রাজনীতি করে, রাজনীতি করে না এমন কেউ হয় না। আমি ঋত্বিক বাবুর উক্তি বিষয়টা খুলেই বললাম।যে সব আন্দোলনকারী বলছে আমি রাজনীতি করিনি,সে কথাটা আমি সম্পূর্ণ মানি না।আর স্বাধীনতা নিয়ে যে বার বার প্রশ্ন আসছে,আমি বলবো মেয়েরা কি সত্যি স্বাধীন নয়, যদি স্বাধীন না হতো তাহলে রাজ জাগো আন্দোলন করতে পারতো !বেশ চলছে মেয়েদের স্বাধীনতা নিয়ে ,ভয় দেখিয়ে পরাধীনতার শিকল পড়ানো।মেয়েরা কোনদিন সমাজে ছিল না নগন্য,আমরা ধর্মীয় শাস্ত্রে দেখেছি,মেয়েরা সবার উর্দ্ধে,তবু বাস্তবে দেখি, মেয়েদের স্বাধীনতা নেই, স্বাধীনতা নেই,বলে একটা চিৎকার মাঝে মাঝে শুনি,এর পেছনে অর্থাৎ পুরুষ শাসিত সমাজে মেয়েদের পিছিয়ে রাখার একটা বড়ো মাপের ষড়যন্ত্র,মেয়েরা দূর্বল ভাবাটা বা সবাইকে আন্দোলন করে জানানো নিচু করার পরিচয়। অনেক ব্যক্তি আর.জি.করের জঘন্য ঘটনা নিয়ে বলছেন,এ বছর দুর্গা পূজা ঘট বসানো হবে না, মন্ডপ,না মূর্তি এসবের দরকার নেই,এটাই হবে তাদের প্রতিবাদ।জানি একটা অসম্ভব ক্ষতি হয়েছে সমাজের,এক ডাক্তারের জীবন অকালে বলী হতে হয়েছে, কিছু পশুর হাতে,তার জন্য দুর্গা পূজার সম্পর্ক কি সেটা বুঝলাম না।এই দুর্গা পূজোর সঙ্গে জড়িত থাকে অনেক দরিদ্র পরিবার, তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে এই পূজোর সাথে,তাই এমন শব্দ বলা ঠিক না।আজকে ইলেকট্রনিক সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের হাতের কাছে আছে বলে, প্রতিবাদের অর্থ কি সেটা ভুলে গেলে হবে না, কিন্তু ভুলে যাচ্ছে কিছু সংখ্যক মানুষ। যারা অশান্তিকে জীবনের মূল মন্ত্র মনে করেন তারা।গোটা বিশ্বে আজ অশান্তির বাতাবরণ, আমাদের প্রতিবেশী দেশ, বাংলাদেশ তো বটেই এবং পাকিস্তান, ইউক্রেন, রাশিয়া ইত্যাদি দেশ জ্বলছে, পৃথিবীতে শান্তির অভাব। শান্তি আমরা আসলে কেউই চাইছি না মনে হয়,তাই বাংলাকেও ছাড় দিলাম না।আজ বাংলার কোথাও না কোথাও আন্দোলনের নামে মুখ্যমন্ত্রীকে পদানত ও অপমান,বদনাম করার চেষ্টা করছে, কিন্তু সব আন্দোলন নয়, কিছু মানুষ সত্যি ন্যায়ের জন্যে আন্দোলন করছে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কিন্তু সেই শান্তি পূর্ণ আন্দোলনের ভেতরে অশান্তি প্রবেশ করানোর জন্য,কিছু অশান্তি ভালোবাসার মানুষ প্রবেশ করছে এবং শান্তি পূর্ণ আন্দোলনকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।আজ থেকে নারীর প্রতি অত্যাচার হচ্ছে না,এটা বহুদিন ধরে, তেমন পুরুষের প্রতি অত্যাচার আজ থেকে হচ্ছে না এটাও বহুদিন ধরে,আজ একবিংশ শতাব্দীর সম্মুখে দাঁড়িয়ে নারী পুরুষ ভেদ করা কাউকে আলাদা চোখে দেখা এটা ঘৃন্য ব্যাপার।পশু সে নারীও হতে পারে, পুরুষও হতে পারে, মানুষের অত্যাচার মানুষ করে,না নারী না পুরুষ।ধরা যাক নারীর প্রতি অত্যাচার বেশি হচ্ছে,আজ মুখ্যমন্ত্রীকে একজন নারী,তাকে যেভাবে গালি গালাজ করছে আন্দোলনের নামে কিছু মানুষ। এটা ঠিক নয়,কারণ তিনিও একজন নারী,উনি আর.জি.করের ঘটনা নিয়ে খুবই দুঃখিত, প্রথম দিন থেকে দোষীদের শাস্তি চেয়েছেন এবং যে ডাক্তার মেয়েটির উপর অত্যাচার করে প্রান নিয়েছে পশুরা,সেই পশুদের শাস্তির দাবী তুলে এক সপ্তাহ সময় নিয়েছিলেন, তাছাড়া মেয়েটির বাবা মাকে সব সময় আশ্বাস দিয়েছেন এবং পাশে থেকেছেন।যে এক সপ্তাহ সময় মুখ্যমন্ত্রী নিয়েছিলেন,রাজ্য পুলিশ দিয়ে আসামিদের ধরবেন,তার মধ্যে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি যোগসূত্র করে সিবিআই তদন্তের দাবী করে কেস ফাইল করেছিল,যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেসের সুরাহা করতে না পারে।কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুরাহা করলে,তারা আর রাজনীতির খেলা খেলতে পারবে না। তাই ছিল তাদের এতো তড়িঘড়ি।আমি একটু আসি বাংলাদেশের কথায়, আমাদের প্রতিবেশী দেশের সরকার ভাঙার ব্যাপারে , এখানে হাসিনা সরকার তার দেশের উন্নয়ন এতটাই করেছে,যে ধারনার বাইরে,তার দেশ ছিল সাজানো গোছানো একটা সভ্য সাবলম্বী দেশ, বিদেশের কাছে সেই ছবি সদা চিত্রায়িত ছিল, কিন্তু তার ভুল হয়তো সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল কিন্তু এ বিষয়টা কারণ ছিল না, ছিল ছাত্র আন্দোলন কোটা সংক্রান্ত বিষয়ে,সেটা এমন ভাবে মোর নিল আন্দোলনের মাধ্যমে ভয়ঙ্কর,তাকে প্ররোচিত ভাবে দেশের সেনাবাহিনীর ষড়যন্ত্রে চলে যেতে হয়েছিল বাংলাদেশ ছেড়ে,তখনি তাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্ৰামী মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙলো জনগণ, বঙ্গবন্ধুর মাথায় প্রস্রাব করল,লুট করল হাসিনার গন ভবনের সকল জিনিস পত্র।এমন কি ছাড়েনি বৃদ্ধা হাসিনার স্তন ঢাকার অন্তর্বাস।এই জনগণ যে হাসিনার জয় গান করছিল,সেই জনগণ এমন করল কিভাবে, কিছু সংখ্যক মানুষ আছে যারা না বুঝে হুজুগে নাচে অথবা যারা নিজ স্বার্থে কোন দল ভিত্তিক বা ধর্ম ভিত্তিক ক্ষমতায়নের জন্যে এমন কার্য করে। তেমনি কিছু সংখ্যক মানুষ ভেবে নিয়েছে পশ্চিম বাংলা কে বাংলা দেশের রূপ দিতে হবে,ধ্বংস লীলা খেলতে হবে,মমতাকে যে কোন প্রকারণে গদি চূ্ ্যত করতে হবে,এটা কাদের অঙ্গিকার, সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস আর কিছু ধর্মীয় ধ্বজা ধারী লোক।এই ধর্মীয় ধ্বজা ধারী লোক বিজেপির অন্তর্গত। সাধারণ মানুষের সংখ্যা কম।সেই সাধারণ মানুষ অত্যাচারিত হবে বাংলাদেশের মতো,এদেশেও ,কারণ কিছু সংখ্যক স্বার্থপর মানুষ উঠে পড়ে লেগেছে আমার পশ্চিম বাংলার উন্নয়নকে স্তব্ধ করার জন্যে, সিপিএম নামক পার্টিটা ভেবেই নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার আসন থেকে এভাবে প্রতিদিনের সাজানো আন্দোলন করে সরাবেন বা সরতে বাধ্য হবেন।বিজেপি নামক পার্টিও ভেবে নিয়েছে এভাবে স্বাস্থ্য ভবন,আর.জি.কর হসপিটাল আন্দোলনের নামে আক্রমণ করে সরকারকে অপদস্থ করে রাষ্ট্রপতি শাসন চালু করা।যায় হোক সকলের চেষ্টা বৃথা হবে এটা নিশ্চিত কারণ উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর কেউ নয়।উনি লড়াই করতে করতে আজকে এখানে এসেছেন,কত মারধর খেয়েছেন,কত অত্যাচার সহ্য করেছেন কিন্তু কখনো নিজের জায়গা ছাড়েনি, নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকেছেন। বর্তমান ফেসবুক বলে যে স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে আছে সেখানে দেখছি কিছু সংখ্যক বিজেপি ও সিপিএম, কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ মানুষ দিনরাত উঠে পড়ে লেগেছে কিভাবে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করবে, তাদের মিথ্যা কিছু পোস্ট কিছু সাধারণ মানুষ সত্য ভেবে খেয়ে ফেলেছেন।এই যে নবান্ন অভিযান করবে, এগুলো সব সিপিএম এবং বিজেপি ও কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র,যেটা সবাই বলছে ছাত্ররা নবান্ন অভিযান করবেন সেটা আসলে পুরো সত্য নয়,হয়তো ছাত্র কিছু থাকবে কিন্তু ছাত্ররাও বুঝতে পারবে না, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র,এই আন্দোলনে তারাও সামিল হবে আবার এটাও হতে পারে ছাত্ররা জেনে শুনে এই পার্টি গুলোর লাগায়া হচ্ছে। চারিদিকে একটাই রব শুধু মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ,যারা এটা বলছে তারা আসলে কিছু জানে কি না সন্দেহ,কারণ মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে বিপুল ভোটে পেয়ে এখানে এসেছে,তাই এমন শব্দ বলা সমীচীন নয়।যে সকল মেয়েরা মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা বানিয়ে পুড়িয়েছেন,এবং নানা রকম চারিত্রিক বার্তা দিয়েছে, তাদের আন্দোলন কারি বলা যায় না।তারা মেয়ে হয়ে মেয়ের জাতির কলঙ্ক। কিছু দিন আগে ডাক্তারদের আন্দোলনে, মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পুড়ানো হয়েছে এবং সেই কুশপুত্তলিকাতে পায়ের জুতো খুলে মারা হয়েছে ও ঘৃন্য ভাষায় গালি গালাজ করেছে,এই ডাক্তারদের কিছু ভুল হলে রোগিকে চিকিৎসা সময়,তার ফলস্বরূপ জনগণ তাদের উপর অত্যাচার করে, তখন এই মুখ্যমন্ত্রী তাদের কাছে ভগবানের মতো এসে তাদেরকে বাঁচায়,আসলে চিকিৎসাতে সবটাই যে সফল হবে এটা কখনো হয়না । ডাক্তারদের সুরক্ষা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন আজ সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের কাছে খারাপ।এই ডাক্তার সব আন্দোলন করছে,তারা রোগির চিকিৎসা করবেন না, যতক্ষণ দোষীর ফাঁসি হচ্ছে,আমরা ভারতের সংবিধান আছে,উচ্চ আদালত আছে, তাদের বিচার ব্যবস্থা সঠিক মাত্রায় পৌঁছে প্রমাণিত হতে হবে সে দোষী তথ্য প্রমাণ দিতে তবে তার শাস্তি হবে,আমি কাউকে খুন করতে দেখলাম,সেটা সঙ্গে সঙ্গে আদালতে গিয়ে বললাম,সেই খুনীর সঙ্গে ফাঁসি হবে না,সব কিছুর একটা সিস্টেম আছে, তার জন্যে সংবিধান, সংবিধানকে অবমাননা করার অধিকার কারওর নেই।সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক প্রমাণ সবুত উপর নির্ভর করে শাস্তি নির্ধারিত হয়।আর বর্তমানে রাজ্য সরকারের হাতে এই কেসটা আর নেই,এটা সিবিআই এর হাতে,তাই যারা নবান্ন অভিযান করবেন বলে ভাবছেন তারা কেন্দ্র সংস্থার সিজিও কমপ্লেক্সে গেলে বেশি উপকার হতো।তাই বারবার করে সকলকে অনুরোধ করছি,শান্ত বাংলাকে অশান্ত করবেন না, সংবিধান মেনে চলুন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ সংবিধানের বাইরে চলে যাওয়াতে দেশটা নষ্ট হয়ে গেল,ওই ছাত্র আন্দোলন করে,আসলে লাভ কিছু হলো না জাতির,পুরো লোকসান হলো পুরো দেশটার।একটা জিনিস জানবেন একজন ব্যক্তিকে চোর বলে মিথ্যা অপরাধে দুজন ব্যক্তি যদি মারে,কোন পাবলিক প্লেসে,তাহলে দেখবেন একজন এসে হত্যা মিথ্যার বিচার না করে ,চোর বলে অভিহিত করা লোকটাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। বর্তমান সমাজ এমনি একটা পরিস্থিতির মধ্যে যাচ্ছে,এই পরিস্থিতি সাধারণ মানুষ পা দেবেন না,তা না হলে আপনাদের ক্ষতি।ভালো করে ভাববেন যে ক্ষতির স্বীকার হয়েছে বাংলাদেশর মানুষ।হয়তো সকলের মনে একটা প্রশ্ন আসতে পারে,আমি কেন,বাংলা দেশ নিয়ে উদাহরণ স্বরূপ এতো কথা বলছি।___ তার আসল কারণ আজ পশ্চিম বাংলার বুকে এতো আন্দোলন চলছে তার পেছনে একটাই কারণ বাংলাদেশের ওই কুৎসিত ব্যভিচারী ছাত্র আন্দোলন,যার থেকে কিছু অশান্তিময় মানুষ ভেবে নিয়েছে এভাবে আন্দোলন করে আমরা পশ্চিম বাংলাকে অশান্ত করবো,আর তাই করছে।আর. জি. করের যে ডাক্তার মেয়েটাকে ইজ্জত নিয়ে হত্যা করা হয়েছে এটি একটি জঘন্য ব্যাপার, তার হত্যার অপরাধীকে অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে,তাই বলে এই নয় রোজ রোজ স্যোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল হবার জন্য সমাজে ভাইরাস ছড়ানো ঠিক না।আজ আমি ছাত্রদৈর প্রেসমিট একটি অনুষ্ঠান দেখছিলাম, তারিখটা আগস্টের ছাব্বিশ,সেখানে এক ছাত্র নামের শিক্ষক যত সম্ভব নদিয়া থেকে কোলকাতায় আগত নবান্ন অভিযানের জন্যে,তাকে দেখি একটি মহিলা রিপোর্টারের প্রশ্নের মুখে পড়ে উত্তেজিত হয়ে বলে উঠলো চোপ একদম চুপ,এরা কিনা আর.জি.করের মহিলা ডাক্তারের হত্যার প্রতিবাদে নবান্ন অভিযান করছে,অবাক সেখানে একটা মহিলা রিপোর্টারকে সম্মান দিতে পারছে না,তারা কি মহিলাদের জন্যে লড়চ্ছে,যায় হোক ওটা কোন সাধারন পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীর আন্দোলন নয় আসলে এটি রাজনৈতিক আন্দোলন,যার মূল উদ্দেশ্য মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করানো,না কোন মহিলার উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন।আমরা সবাই জানি হুজুগে মেতে কিছু সাধারণ মানুষ যাচ্ছেন তাদের সাথে,তাই দয়াকরে বলবো পশ্চিম বাংলার এমন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী আপনারা আর পাবেন না,যিনি গরীবের জন্যে দিনরাত ভাবেন, দেখবেন বুঝবেন আগামী বাংলাকে রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের মতো সাধারণ মানুষের, আপনাদের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী।তাই বলবো যে নারী সুরক্ষা আন্দোলন আজ পশ্চিম চলছে আপনারা দেখছেন,সেটি তৈরী করা সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি এই সব পার্টি গুলোর।আর অবশেষে বলবো বাংলা মা বোনরা একটা কথা মনে রাখবেন এই সিপিএম, বিজেপি কিন্তু নারীদের গত পেছনের দিন গুলোতে কোন সম্মান করেনি,তার বড়ো প্রমাণ আছে,তবে আজ তাদের যে নারী অধিকারের আন্দোলন এটা জানবেন দুর্যোধনের আর দুঃশাসনের দ্রোপদীর কাপড় খোলার আগামীদিনের গভীর ষড়যন্ত্র।। ধন্যবাদান্তে "বাপি সরকার" ©Bapi Sarkar "

White #আন্দোলন_আসলে_কিসের_বিষয়টা_পড়ুন:- আন্দোলনটা দোষীদের শাস্তি প্রদানের,না মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার টলানোর,আসল বিষয় বস্তুটা কি?সেটা জানা গেলো না, আর নারী সুরক্ষা খায় না মাথায় দেয়, সেটাও বোঝা গেলো না,বলতে পারেন আমি গবেট,মাথা পেতে নিলাম।এত নারী আন্দোলনের মিছিল,নারীর প্রতি অন্যায়ের জন্যে,সেই সব আন্দোলনের মাঝে দেখছি, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবী, মুখ্যমন্ত্রীর অবমাননা সূচক লেখনি পত্রের বড়ো বড়ো হোডিং ফলক,এটা কি নারীর প্রতি অবমাননা নয়,কারণ আমরা তো সবাই জানি আমাদের এ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী একজন নারী।আর নারী সুরক্ষা বিষয়টা বিশেষ করে আমি মানি না,তার পেছনে একটা কারণ তো আছে,কে নারী কে পুরুষ সকলেই সমান,সকলে সাবলম্বী সব দিক দিয়ে আজকের দিনে এসে,তাই নারী বলে তাকে আলাদা চোখে দেখা হবে,এটা মানতে পারলাম না।সুরক্ষা যদি বলেন তাহলে সকলের জন্যে সমান সমান অধিকার চিরকাল এটাই আমি মনে করি।আলাদা করে আলোচিত করে, আন্দোলন করে নারী সুরক্ষা দাবী করা মানে নারীদের পিছিয়ে রাখা।আজ অনেক ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম,এক্স হ্যান্ডেলে এবং রাজপথে ,যে কোন রাস্তাঘাটে আর বিশেষ করে পাড়ায় পাড়ায় চায়ের দোকানে মেকি বিপ্লবীদের বার্তা আলাপ দেখছি, এখানে একটাই কথা আজকের মুখ্যমন্ত্রী অমানবিক,তাকে গদিচূ্্যত করতে হবে, নারীর প্রতি তার বিশেষ অবহেলা,এ রকমি বার্তা কিছু ছড়াচ্ছে।কেউ বলছে মুখ্যমন্ত্রীর যে বিশেষ প্রকল্প কন্যাশ্রী পরিত্যাগ করতে হবে,রূপ শ্রী পরিত্যাগ করতে হবে এবং লক্ষ্মীর ভান্ডার পরিত্যাগ করতে হবে,আসলে বাংলার মহিলারা এগুলো এক কথায় নেবে না।আজকে কেন নেবে না,তার কারণ আর.জি.কর হসপিটালে একটি ডাক্তারি পড়ুয়া মেয়ে জঘন্য ভাবে ধর্ষিত হয়ে খুন হয়েছে ,এটা সত্যি একটি মর্মান্তিক ঘটনা,এর জন্যে না লক্ষ্মীর ভান্ডারের কোন সম্পর্ক বা কন্যাশ্রী,রূপশ্রী, সবুজ সাথী,খাদ্য সাথী,না পূজো প্যান্ডেলের পঁচাশি হাজার অনুদানের,তবু কিছু মানুষ সরকারের প্রকল্প নিয়ে তীব্র প্রতিবাদে মুখর।এই প্রকল্প কারা নেবে না,কে নেবে না ,কত জন নেবে না বা তাদের কি নাম সেটা একবার জানতে পারলাম না ও শুনতে পারলাম না। কিন্তু কিছু মানুষ বলছে অর্থাৎ ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গিল্টি কিছু মানুষ,এরা কারা পরিষ্কার বললে বলবে ও তো দিদির গোলাম, কিন্তু সত্যটা বলেই ফেলি,এরা আর কেউ নয়,এরা সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস দলের দালাল ,সে নারী কিংবা পুরুষ।ওই যে আমি আগেই বলেছি একটি কথায়,এরা সমাজের কোন স্থান না পেয়ে, জনগণ দ্বারা বার বার বর্জিত হয়ে, উপায়হীন হয়ে পড়েছে, এখন এই মানুষ গুলো শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার জন্য লাগাতার আন্দোলন করছে,কেউ আমাকে নারী বিদ্বেষী বলতে পারে,তাতে আমার কিছু যায় আসে না।আসলে আমি নারী বিদ্বেষী না,আমি নারীদের যথেষ্ট সম্মান করি মানুষ হিসাবে, এতখানি সম্মান করি একজন পুরুষকেও, আমার কাছে আমার মা যেমন, আমার বাবা তেমন। ভালোবাসার এতোটুকু ভেদ নেই,সমান সমান।আর মুখ্যমন্ত্রীর পার্টির গোলাম বললে আমি গোলাম।যে সরকার বাংলার বুকে আসার পরে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কোন বাড়ির চালের হাঁড়ার দিকে তাকিয়ে দেখতে হয়নি আজকে চাল আছে কি না,তাকে ভাবতে হয়নি তার ছেলে কিম্বা মেয়ে উচ্চশিক্ষিত করার জন্য,কন্যা দায় গ্ৰস্ত পিতাকে ভাবতে হয় না কন্যার বিয়ের জন্য কারণ খাদ্য সাথী জন্যে সাধারণ মানুষের চালের হাঁড়া চালে পূর্ণ,এছাড়া কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, রূপশ্রী এ সবের জন্যে সাধারণ মানুষের ঘর হাঁসিখুশিতে মাতানো।করোনা কালে সকলের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল চাল, একেবারে বিনামূল্যে,যখন দেশ, জনজীবন মহামারীর ভয়ে স্তব্ধ তখন ছিল,এই মুখ্যমন্ত্রী সকলের পাশে, হ্যাঁ আমি তার গোলাম মানতে লজ্জা নেই।আজ আর .জি.করে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আমরা সকলে দুঃখিত তার জন্যে নারীরা রাত জাগো বলে একটি আন্দোলন করেছিল, হ্যাঁ এটা করতে পারে, মানুষের অধিকার মানুষের জন্যে পথ চলতে পারে,আমি পুরোপুরি সমর্থন করি, তাদের প্রতিবাদ আন্দোলনকে,কারণ দোষীরা শাস্তি পাক,এই বাক্য আমি আগেও বলেছি এবং বারবার বলছি। কিন্তু এই রাত জাগো আন্দোলনের মাঝে লুকিয়ে বা সরাসরি ছিল বড়ো মাপের একটি বিশেষ দলভিত্তিক নারী পুরুষের ষড়যন্ত্র, কিছু আন্দোলনকারী ছিল তারা বুঝতে পারনি ,তাই সেদিন আন্দোলনের নামে আর .জি.কর ভাঙচুর,এবং মুহুর্তের মধ্যেও সরকারকে প্রমাণ লোপাটের দোষারোপ,এ ষড়যন্ত্র সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি একত্রিত হয়ে,সারা রাত ধরে পুলিশকে মারধর গুন্ডামি, রক্তারক্তি করেছিল আন্দোলনের নামে, তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে কোন প্রকারণে কলঙ্কিত করা বাংলার আপামর বাঙালির কাছে।এখনো চেষ্টায় তারা ক্রটি রাখেনি, দিন রাত এক করে আন্দোলনের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বেশ ভালো, উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উনার নামে অপপ্রচার চালিয়ে কিছু হবে বলে, আমার মনে হয় না। এখানকার বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস উচ্চ লেভেলের নেতারা ভেবেছিল বাংলাদেশের মতো, পশ্চিমবাংলাকে করে ছাড়বে,পারেনি,তবু চেষ্টা তারা চালিয়ে যাচ্ছে। মহিলারা যারা আন্দোলন এখন শুধু করছেন মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে, তাদের আসলে গাত্র দাহ হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর নক্ষত্র উজ্জ্বল বিশ্বজুড়ে নাম দেখে,বাংলা চলচিত্রের একজন বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটক বলেছিলেন,এই পৃথিবীতে কোন মানুষ যদি বলে আমি রাজনীতি করি না , নিরপেক্ষ,এটা একদম ভুল কথা,কেউ সামনে ,কেউ পেছনে,কেউ অন্তরে অন্তরে রাজনীতি করে, রাজনীতি করে না এমন কেউ হয় না। আমি ঋত্বিক বাবুর উক্তি বিষয়টা খুলেই বললাম।যে সব আন্দোলনকারী বলছে আমি রাজনীতি করিনি,সে কথাটা আমি সম্পূর্ণ মানি না।আর স্বাধীনতা নিয়ে যে বার বার প্রশ্ন আসছে,আমি বলবো মেয়েরা কি সত্যি স্বাধীন নয়, যদি স্বাধীন না হতো তাহলে রাজ জাগো আন্দোলন করতে পারতো !বেশ চলছে মেয়েদের স্বাধীনতা নিয়ে ,ভয় দেখিয়ে পরাধীনতার শিকল পড়ানো।মেয়েরা কোনদিন সমাজে ছিল না নগন্য,আমরা ধর্মীয় শাস্ত্রে দেখেছি,মেয়েরা সবার উর্দ্ধে,তবু বাস্তবে দেখি, মেয়েদের স্বাধীনতা নেই, স্বাধীনতা নেই,বলে একটা চিৎকার মাঝে মাঝে শুনি,এর পেছনে অর্থাৎ পুরুষ শাসিত সমাজে মেয়েদের পিছিয়ে রাখার একটা বড়ো মাপের ষড়যন্ত্র,মেয়েরা দূর্বল ভাবাটা বা সবাইকে আন্দোলন করে জানানো নিচু করার পরিচয়। অনেক ব্যক্তি আর.জি.করের জঘন্য ঘটনা নিয়ে বলছেন,এ বছর দুর্গা পূজা ঘট বসানো হবে না, মন্ডপ,না মূর্তি এসবের দরকার নেই,এটাই হবে তাদের প্রতিবাদ।জানি একটা অসম্ভব ক্ষতি হয়েছে সমাজের,এক ডাক্তারের জীবন অকালে বলী হতে হয়েছে, কিছু পশুর হাতে,তার জন্য দুর্গা পূজার সম্পর্ক কি সেটা বুঝলাম না।এই দুর্গা পূজোর সঙ্গে জড়িত থাকে অনেক দরিদ্র পরিবার, তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে এই পূজোর সাথে,তাই এমন শব্দ বলা ঠিক না।আজকে ইলেকট্রনিক সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের হাতের কাছে আছে বলে, প্রতিবাদের অর্থ কি সেটা ভুলে গেলে হবে না, কিন্তু ভুলে যাচ্ছে কিছু সংখ্যক মানুষ। যারা অশান্তিকে জীবনের মূল মন্ত্র মনে করেন তারা।গোটা বিশ্বে আজ অশান্তির বাতাবরণ, আমাদের প্রতিবেশী দেশ, বাংলাদেশ তো বটেই এবং পাকিস্তান, ইউক্রেন, রাশিয়া ইত্যাদি দেশ জ্বলছে, পৃথিবীতে শান্তির অভাব। শান্তি আমরা আসলে কেউই চাইছি না মনে হয়,তাই বাংলাকেও ছাড় দিলাম না।আজ বাংলার কোথাও না কোথাও আন্দোলনের নামে মুখ্যমন্ত্রীকে পদানত ও অপমান,বদনাম করার চেষ্টা করছে, কিন্তু সব আন্দোলন নয়, কিছু মানুষ সত্যি ন্যায়ের জন্যে আন্দোলন করছে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কিন্তু সেই শান্তি পূর্ণ আন্দোলনের ভেতরে অশান্তি প্রবেশ করানোর জন্য,কিছু অশান্তি ভালোবাসার মানুষ প্রবেশ করছে এবং শান্তি পূর্ণ আন্দোলনকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।আজ থেকে নারীর প্রতি অত্যাচার হচ্ছে না,এটা বহুদিন ধরে, তেমন পুরুষের প্রতি অত্যাচার আজ থেকে হচ্ছে না এটাও বহুদিন ধরে,আজ একবিংশ শতাব্দীর সম্মুখে দাঁড়িয়ে নারী পুরুষ ভেদ করা কাউকে আলাদা চোখে দেখা এটা ঘৃন্য ব্যাপার।পশু সে নারীও হতে পারে, পুরুষও হতে পারে, মানুষের অত্যাচার মানুষ করে,না নারী না পুরুষ।ধরা যাক নারীর প্রতি অত্যাচার বেশি হচ্ছে,আজ মুখ্যমন্ত্রীকে একজন নারী,তাকে যেভাবে গালি গালাজ করছে আন্দোলনের নামে কিছু মানুষ। এটা ঠিক নয়,কারণ তিনিও একজন নারী,উনি আর.জি.করের ঘটনা নিয়ে খুবই দুঃখিত, প্রথম দিন থেকে দোষীদের শাস্তি চেয়েছেন এবং যে ডাক্তার মেয়েটির উপর অত্যাচার করে প্রান নিয়েছে পশুরা,সেই পশুদের শাস্তির দাবী তুলে এক সপ্তাহ সময় নিয়েছিলেন, তাছাড়া মেয়েটির বাবা মাকে সব সময় আশ্বাস দিয়েছেন এবং পাশে থেকেছেন।যে এক সপ্তাহ সময় মুখ্যমন্ত্রী নিয়েছিলেন,রাজ্য পুলিশ দিয়ে আসামিদের ধরবেন,তার মধ্যে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি যোগসূত্র করে সিবিআই তদন্তের দাবী করে কেস ফাইল করেছিল,যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেসের সুরাহা করতে না পারে।কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুরাহা করলে,তারা আর রাজনীতির খেলা খেলতে পারবে না। তাই ছিল তাদের এতো তড়িঘড়ি।আমি একটু আসি বাংলাদেশের কথায়, আমাদের প্রতিবেশী দেশের সরকার ভাঙার ব্যাপারে , এখানে হাসিনা সরকার তার দেশের উন্নয়ন এতটাই করেছে,যে ধারনার বাইরে,তার দেশ ছিল সাজানো গোছানো একটা সভ্য সাবলম্বী দেশ, বিদেশের কাছে সেই ছবি সদা চিত্রায়িত ছিল, কিন্তু তার ভুল হয়তো সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল কিন্তু এ বিষয়টা কারণ ছিল না, ছিল ছাত্র আন্দোলন কোটা সংক্রান্ত বিষয়ে,সেটা এমন ভাবে মোর নিল আন্দোলনের মাধ্যমে ভয়ঙ্কর,তাকে প্ররোচিত ভাবে দেশের সেনাবাহিনীর ষড়যন্ত্রে চলে যেতে হয়েছিল বাংলাদেশ ছেড়ে,তখনি তাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্ৰামী মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙলো জনগণ, বঙ্গবন্ধুর মাথায় প্রস্রাব করল,লুট করল হাসিনার গন ভবনের সকল জিনিস পত্র।এমন কি ছাড়েনি বৃদ্ধা হাসিনার স্তন ঢাকার অন্তর্বাস।এই জনগণ যে হাসিনার জয় গান করছিল,সেই জনগণ এমন করল কিভাবে, কিছু সংখ্যক মানুষ আছে যারা না বুঝে হুজুগে নাচে অথবা যারা নিজ স্বার্থে কোন দল ভিত্তিক বা ধর্ম ভিত্তিক ক্ষমতায়নের জন্যে এমন কার্য করে। তেমনি কিছু সংখ্যক মানুষ ভেবে নিয়েছে পশ্চিম বাংলা কে বাংলা দেশের রূপ দিতে হবে,ধ্বংস লীলা খেলতে হবে,মমতাকে যে কোন প্রকারণে গদি চূ্ ্যত করতে হবে,এটা কাদের অঙ্গিকার, সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস আর কিছু ধর্মীয় ধ্বজা ধারী লোক।এই ধর্মীয় ধ্বজা ধারী লোক বিজেপির অন্তর্গত। সাধারণ মানুষের সংখ্যা কম।সেই সাধারণ মানুষ অত্যাচারিত হবে বাংলাদেশের মতো,এদেশেও ,কারণ কিছু সংখ্যক স্বার্থপর মানুষ উঠে পড়ে লেগেছে আমার পশ্চিম বাংলার উন্নয়নকে স্তব্ধ করার জন্যে, সিপিএম নামক পার্টিটা ভেবেই নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার আসন থেকে এভাবে প্রতিদিনের সাজানো আন্দোলন করে সরাবেন বা সরতে বাধ্য হবেন।বিজেপি নামক পার্টিও ভেবে নিয়েছে এভাবে স্বাস্থ্য ভবন,আর.জি.কর হসপিটাল আন্দোলনের নামে আক্রমণ করে সরকারকে অপদস্থ করে রাষ্ট্রপতি শাসন চালু করা।যায় হোক সকলের চেষ্টা বৃথা হবে এটা নিশ্চিত কারণ উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর কেউ নয়।উনি লড়াই করতে করতে আজকে এখানে এসেছেন,কত মারধর খেয়েছেন,কত অত্যাচার সহ্য করেছেন কিন্তু কখনো নিজের জায়গা ছাড়েনি, নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকেছেন। বর্তমান ফেসবুক বলে যে স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে আছে সেখানে দেখছি কিছু সংখ্যক বিজেপি ও সিপিএম, কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ মানুষ দিনরাত উঠে পড়ে লেগেছে কিভাবে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করবে, তাদের মিথ্যা কিছু পোস্ট কিছু সাধারণ মানুষ সত্য ভেবে খেয়ে ফেলেছেন।এই যে নবান্ন অভিযান করবে, এগুলো সব সিপিএম এবং বিজেপি ও কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র,যেটা সবাই বলছে ছাত্ররা নবান্ন অভিযান করবেন সেটা আসলে পুরো সত্য নয়,হয়তো ছাত্র কিছু থাকবে কিন্তু ছাত্ররাও বুঝতে পারবে না, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র,এই আন্দোলনে তারাও সামিল হবে আবার এটাও হতে পারে ছাত্ররা জেনে শুনে এই পার্টি গুলোর লাগায়া হচ্ছে। চারিদিকে একটাই রব শুধু মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ,যারা এটা বলছে তারা আসলে কিছু জানে কি না সন্দেহ,কারণ মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে বিপুল ভোটে পেয়ে এখানে এসেছে,তাই এমন শব্দ বলা সমীচীন নয়।যে সকল মেয়েরা মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা বানিয়ে পুড়িয়েছেন,এবং নানা রকম চারিত্রিক বার্তা দিয়েছে, তাদের আন্দোলন কারি বলা যায় না।তারা মেয়ে হয়ে মেয়ের জাতির কলঙ্ক। কিছু দিন আগে ডাক্তারদের আন্দোলনে, মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পুড়ানো হয়েছে এবং সেই কুশপুত্তলিকাতে পায়ের জুতো খুলে মারা হয়েছে ও ঘৃন্য ভাষায় গালি গালাজ করেছে,এই ডাক্তারদের কিছু ভুল হলে রোগিকে চিকিৎসা সময়,তার ফলস্বরূপ জনগণ তাদের উপর অত্যাচার করে, তখন এই মুখ্যমন্ত্রী তাদের কাছে ভগবানের মতো এসে তাদেরকে বাঁচায়,আসলে চিকিৎসাতে সবটাই যে সফল হবে এটা কখনো হয়না । ডাক্তারদের সুরক্ষা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন আজ সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের কাছে খারাপ।এই ডাক্তার সব আন্দোলন করছে,তারা রোগির চিকিৎসা করবেন না, যতক্ষণ দোষীর ফাঁসি হচ্ছে,আমরা ভারতের সংবিধান আছে,উচ্চ আদালত আছে, তাদের বিচার ব্যবস্থা সঠিক মাত্রায় পৌঁছে প্রমাণিত হতে হবে সে দোষী তথ্য প্রমাণ দিতে তবে তার শাস্তি হবে,আমি কাউকে খুন করতে দেখলাম,সেটা সঙ্গে সঙ্গে আদালতে গিয়ে বললাম,সেই খুনীর সঙ্গে ফাঁসি হবে না,সব কিছুর একটা সিস্টেম আছে, তার জন্যে সংবিধান, সংবিধানকে অবমাননা করার অধিকার কারওর নেই।সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক প্রমাণ সবুত উপর নির্ভর করে শাস্তি নির্ধারিত হয়।আর বর্তমানে রাজ্য সরকারের হাতে এই কেসটা আর নেই,এটা সিবিআই এর হাতে,তাই যারা নবান্ন অভিযান করবেন বলে ভাবছেন তারা কেন্দ্র সংস্থার সিজিও কমপ্লেক্সে গেলে বেশি উপকার হতো।তাই বারবার করে সকলকে অনুরোধ করছি,শান্ত বাংলাকে অশান্ত করবেন না, সংবিধান মেনে চলুন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ সংবিধানের বাইরে চলে যাওয়াতে দেশটা নষ্ট হয়ে গেল,ওই ছাত্র আন্দোলন করে,আসলে লাভ কিছু হলো না জাতির,পুরো লোকসান হলো পুরো দেশটার।একটা জিনিস জানবেন একজন ব্যক্তিকে চোর বলে মিথ্যা অপরাধে দুজন ব্যক্তি যদি মারে,কোন পাবলিক প্লেসে,তাহলে দেখবেন একজন এসে হত্যা মিথ্যার বিচার না করে ,চোর বলে অভিহিত করা লোকটাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। বর্তমান সমাজ এমনি একটা পরিস্থিতির মধ্যে যাচ্ছে,এই পরিস্থিতি সাধারণ মানুষ পা দেবেন না,তা না হলে আপনাদের ক্ষতি।ভালো করে ভাববেন যে ক্ষতির স্বীকার হয়েছে বাংলাদেশর মানুষ।হয়তো সকলের মনে একটা প্রশ্ন আসতে পারে,আমি কেন,বাংলা দেশ নিয়ে উদাহরণ স্বরূপ এতো কথা বলছি।___ তার আসল কারণ আজ পশ্চিম বাংলার বুকে এতো আন্দোলন চলছে তার পেছনে একটাই কারণ বাংলাদেশের ওই কুৎসিত ব্যভিচারী ছাত্র আন্দোলন,যার থেকে কিছু অশান্তিময় মানুষ ভেবে নিয়েছে এভাবে আন্দোলন করে আমরা পশ্চিম বাংলাকে অশান্ত করবো,আর তাই করছে।আর. জি. করের যে ডাক্তার মেয়েটাকে ইজ্জত নিয়ে হত্যা করা হয়েছে এটি একটি জঘন্য ব্যাপার, তার হত্যার অপরাধীকে অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে,তাই বলে এই নয় রোজ রোজ স্যোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল হবার জন্য সমাজে ভাইরাস ছড়ানো ঠিক না।আজ আমি ছাত্রদৈর প্রেসমিট একটি অনুষ্ঠান দেখছিলাম, তারিখটা আগস্টের ছাব্বিশ,সেখানে এক ছাত্র নামের শিক্ষক যত সম্ভব নদিয়া থেকে কোলকাতায় আগত নবান্ন অভিযানের জন্যে,তাকে দেখি একটি মহিলা রিপোর্টারের প্রশ্নের মুখে পড়ে উত্তেজিত হয়ে বলে উঠলো চোপ একদম চুপ,এরা কিনা আর.জি.করের মহিলা ডাক্তারের হত্যার প্রতিবাদে নবান্ন অভিযান করছে,অবাক সেখানে একটা মহিলা রিপোর্টারকে সম্মান দিতে পারছে না,তারা কি মহিলাদের জন্যে লড়চ্ছে,যায় হোক ওটা কোন সাধারন পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীর আন্দোলন নয় আসলে এটি রাজনৈতিক আন্দোলন,যার মূল উদ্দেশ্য মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করানো,না কোন মহিলার উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন।আমরা সবাই জানি হুজুগে মেতে কিছু সাধারণ মানুষ যাচ্ছেন তাদের সাথে,তাই দয়াকরে বলবো পশ্চিম বাংলার এমন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী আপনারা আর পাবেন না,যিনি গরীবের জন্যে দিনরাত ভাবেন, দেখবেন বুঝবেন আগামী বাংলাকে রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের মতো সাধারণ মানুষের, আপনাদের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী।তাই বলবো যে নারী সুরক্ষা আন্দোলন আজ পশ্চিম চলছে আপনারা দেখছেন,সেটি তৈরী করা সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি এই সব পার্টি গুলোর।আর অবশেষে বলবো বাংলা মা বোনরা একটা কথা মনে রাখবেন এই সিপিএম, বিজেপি কিন্তু নারীদের গত পেছনের দিন গুলোতে কোন সম্মান করেনি,তার বড়ো প্রমাণ আছে,তবে আজ তাদের যে নারী অধিকারের আন্দোলন এটা জানবেন দুর্যোধনের আর দুঃশাসনের দ্রোপদীর কাপড় খোলার আগামীদিনের গভীর ষড়যন্ত্র।। ধন্যবাদান্তে "বাপি সরকার" ©Bapi Sarkar

#GoodMorning

People who shared love close

More like this

Trending Topic