টোটো এসে থামলো আর ভাড়া দিয়ে হাঁটা মারলাম বস স্ট্ | বাংলা Quotes

"টোটো এসে থামলো আর ভাড়া দিয়ে হাঁটা মারলাম বস স্ট্যান্ডের দিকে। কিন্তু অদ্ভুত কান্ড! একটাও শাটল নেই। সাপের মতো লাইন হয়ে গেছে। পাশ থেকে রাস্তা পার করার আগে চারিদিকে নজর দিলাম। না, এখনও আসেনি। কিন্তু এদিকে যে আমার দেরি হয়ে গেছে অনেকটা। যেখানে ৯:১৫ আমার আধা রাস্তা পৌঁছে যাওয়ার কথা, সেখানে আমি লাইনে রোদে দাঁড়িয়ে। মেজাজ এমনিতেই ভালো না তার পর আবার দেরি। অফিসে গিয়ে হাজার কৈফিয়ত দাও। কিন্ত পরে মনে হল, যা বলার বলুক। আমার কাজে যখন ত্রুটি নেই আর আমি সাধারণত লেট করিনা, তখন যদি কিছু বলে তাহলে আজ কথা শুনে যাবে। না শাটল আসল আর না ওর সাথে দেখা হল। মনে হল, আমার আগে এসে গেছে হয়তো, গাড়ি পেয়ে বেড়িয়ে গেছে। দেরি হতে দেখে একটা ট্যাক্সি বুক করলাম, কিন্তু সেখানেও ফেল। বুকিং ক্যান্সল করে দিল। মনে মনে বললাম- আজ কপালে শনি নাচ করছে। দুঃখ আছে। বাইক বুক করলাম আর লাইন থেকে বেড়িয়ে গেলাম। বাইকের টাইম দেখাল ৫ মিনিট। ঘড়িতে তখন বাজল ৯:২২। চোখ তুলে দেখলাম আর নজর পড়ল এক লাল সাড়ি পরে আসা মেয়ের ওপর। সেও আমাকে দেখতে পেল আর এগিয়ে আসল। কিছু অনুভূতি এমন হয়ে যা বলে বা লিখে বোঝানো যায়না। সেটা সেই মুহুর্তের মধ্যে সবকিছু দিয়ে চলে যায়। ওকে দেখতে পাওয়া সেই মুহুর্ত। আমি যেই ভাবে একদৃষ্টে ওর দিকে তাকিয়ে কি আমি ভুলে গেছি যে এই তো এত দিনের রাগ, অভিমান, অভিযোগ সব মিশিয়ে যাচ্ছে। ইচ্ছা করল, দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরি কিন্তু এই ইচ্ছা টা অনন্ত বার আমি নিজে চেপে দিয়েছি, ওর কথা ভেবে। দেখলাম ওর মুখে হাসি আছে কিন্তু যত বার দেখি তত বার ভাবি কি ওর ঠোঁটের হাসি ওর চোখের সাথে মিল খায়না। সেটা আজ না, বছর বছর ধরে দেখছি। হয়তো আমি ভুল, কিন্তু ওর পক্ষে আমি ভাবি একটু বেশি কেননা ও কম ভাবে। ও হল প্র্যাকটিক্যাল, বর্তমানে থাকা একটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট মেয়ে। অনেক সরল বুদ্ধি, কিন্তু কথায় পাড়া যায় না। সবাইকে বুঝিয়ে বেড়ানো আমি একমাত্র ওর কাছে গিয়ে হেরে যাই আর না ওকে বোঝাতে পারি। এইজন্য ওকে দেখলে ওর জিজ্ঞাসা করা একটাই প্রশ্ন মনে পড়ে- "কি হই আমি তোমার?" আমার সামনে আসতে ওকে ইশারা করলাম এগিয়ে যেতে কেননা ওর অনেক দেরি হয়ে গেছে। তাও ও কিছুক্ষণ দাড়াল আর তার পর এগিয়ে গেল। সবসময়ের মত ওকে যেতে দেখলাম। তখন একটা জিনিস মনে পড়ল। আমার দেরি না হলে হয়তো ওর সাথে এইটুকু দেখাও হত না। আসলে আমার দেরি হয়েনি। আমার এই অপেক্ষায় অসুবিধা হয়েছে কিন্তু শেষটা ভাল। শাটলের লাইন, ক্যাব ক্যান্সল হওয়া আর আমার অপেক্ষা করা, সব নিজের সময় মত হয়েছে। একটু ধৈর্য, একটু চেষ্টা আর একটু সময় দিতে হবে। জিনিস এখন অগোছালো হলেও ঠিক হয়ে যাবে। ওর মেসেজ আসল সাবধানে যাওয়ার জন্য। সেই ৫ সেকেন্ডের দেখা আমাকে আজ অনেকটা হালকা করে দিল ভিতর থেকে। যদি এইটুকু ওকে বোঝাতে পারতাম, হয়তো ওর কাছ থেকে আর একটু কিছু বেশি সময় নিতাম আরও কিছুটা বাঁচার জন্য। যাই হোক, আমি অফিসে এসে দেখলাম আমার ম্যনেজার আসেনি। সোনে পে সোহাগা! ঢুকতেই আমাকে বন্ধূরা জিজ্ঞাসা করল- "দেরি কেন হল রে?" মুখে হালকা একটা হাঁসি নিয়ে বললাম- "দেরি হয়নি, সঠিক সময় সঠিক জায়গায় ছিলাম।" ©Ananta Dasgupta"

 টোটো এসে থামলো আর ভাড়া দিয়ে হাঁটা মারলাম বস স্ট্যান্ডের দিকে। কিন্তু অদ্ভুত কান্ড! একটাও শাটল নেই। সাপের মতো লাইন হয়ে গেছে। পাশ থেকে রাস্তা পার করার আগে চারিদিকে নজর দিলাম। না, এখনও আসেনি। কিন্তু এদিকে যে আমার দেরি হয়ে গেছে অনেকটা। যেখানে ৯:১৫ আমার আধা রাস্তা পৌঁছে যাওয়ার কথা, সেখানে আমি লাইনে রোদে দাঁড়িয়ে। মেজাজ এমনিতেই ভালো না তার পর আবার দেরি। অফিসে গিয়ে হাজার কৈফিয়ত দাও। কিন্ত পরে মনে হল, যা বলার বলুক। আমার কাজে যখন ত্রুটি নেই আর আমি সাধারণত লেট করিনা, তখন যদি কিছু বলে তাহলে আজ কথা শুনে যাবে। 

না শাটল আসল আর না ওর সাথে দেখা হল। মনে হল, আমার আগে এসে গেছে হয়তো, গাড়ি পেয়ে বেড়িয়ে গেছে। দেরি হতে দেখে একটা ট্যাক্সি বুক করলাম, কিন্তু সেখানেও ফেল। বুকিং ক্যান্সল করে দিল। মনে মনে বললাম- আজ কপালে শনি নাচ করছে। দুঃখ আছে। বাইক বুক করলাম আর লাইন থেকে বেড়িয়ে গেলাম। বাইকের টাইম দেখাল ৫ মিনিট। ঘড়িতে তখন বাজল ৯:২২। চোখ তুলে দেখলাম আর নজর পড়ল এক লাল সাড়ি পরে আসা মেয়ের ওপর। সেও আমাকে দেখতে পেল আর এগিয়ে আসল। 

কিছু অনুভূতি এমন হয়ে যা বলে বা লিখে বোঝানো যায়না। সেটা সেই মুহুর্তের মধ্যে সবকিছু দিয়ে চলে যায়। ওকে দেখতে পাওয়া সেই মুহুর্ত। আমি যেই ভাবে একদৃষ্টে ওর দিকে তাকিয়ে কি আমি ভুলে গেছি যে এই তো এত দিনের রাগ, অভিমান, অভিযোগ সব মিশিয়ে যাচ্ছে। ইচ্ছা করল, দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরি কিন্তু এই ইচ্ছা টা অনন্ত বার আমি নিজে চেপে দিয়েছি, ওর কথা ভেবে। দেখলাম ওর মুখে হাসি আছে কিন্তু যত বার দেখি তত বার ভাবি কি ওর ঠোঁটের হাসি ওর চোখের সাথে মিল খায়না। সেটা আজ না, বছর বছর ধরে দেখছি। হয়তো আমি ভুল, কিন্তু ওর পক্ষে আমি ভাবি একটু বেশি কেননা ও কম ভাবে। ও হল প্র্যাকটিক্যাল, বর্তমানে থাকা একটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট মেয়ে। অনেক সরল বুদ্ধি, কিন্তু কথায় পাড়া যায় না। সবাইকে বুঝিয়ে বেড়ানো আমি একমাত্র ওর কাছে গিয়ে হেরে যাই আর না ওকে বোঝাতে পারি। এইজন্য ওকে দেখলে ওর জিজ্ঞাসা করা একটাই প্রশ্ন মনে পড়ে- "কি হই আমি তোমার?"

আমার সামনে আসতে ওকে ইশারা করলাম এগিয়ে যেতে কেননা ওর অনেক দেরি হয়ে গেছে। তাও ও কিছুক্ষণ দাড়াল আর তার পর এগিয়ে গেল। সবসময়ের মত ওকে যেতে দেখলাম। তখন একটা জিনিস মনে পড়ল। আমার দেরি না হলে হয়তো ওর সাথে এইটুকু দেখাও হত না। আসলে আমার দেরি হয়েনি। আমার এই অপেক্ষায় অসুবিধা হয়েছে কিন্তু শেষটা ভাল। শাটলের লাইন, ক্যাব ক্যান্সল হওয়া আর আমার অপেক্ষা করা, সব নিজের সময় মত হয়েছে। একটু ধৈর্য, একটু চেষ্টা আর একটু সময় দিতে হবে। জিনিস এখন অগোছালো হলেও ঠিক হয়ে যাবে। 

ওর মেসেজ আসল সাবধানে যাওয়ার জন্য। সেই ৫ সেকেন্ডের দেখা আমাকে আজ অনেকটা হালকা করে দিল ভিতর থেকে। যদি এইটুকু ওকে বোঝাতে পারতাম, হয়তো ওর কাছ থেকে আর একটু কিছু বেশি সময় নিতাম আরও কিছুটা বাঁচার জন্য। যাই হোক, আমি অফিসে এসে দেখলাম আমার ম্যনেজার আসেনি। সোনে পে সোহাগা! ঢুকতেই আমাকে বন্ধূরা জিজ্ঞাসা করল- "দেরি কেন হল রে?"
মুখে হালকা একটা হাঁসি নিয়ে বললাম- "দেরি হয়নি, সঠিক সময় সঠিক জায়গায় ছিলাম।"

©Ananta Dasgupta

টোটো এসে থামলো আর ভাড়া দিয়ে হাঁটা মারলাম বস স্ট্যান্ডের দিকে। কিন্তু অদ্ভুত কান্ড! একটাও শাটল নেই। সাপের মতো লাইন হয়ে গেছে। পাশ থেকে রাস্তা পার করার আগে চারিদিকে নজর দিলাম। না, এখনও আসেনি। কিন্তু এদিকে যে আমার দেরি হয়ে গেছে অনেকটা। যেখানে ৯:১৫ আমার আধা রাস্তা পৌঁছে যাওয়ার কথা, সেখানে আমি লাইনে রোদে দাঁড়িয়ে। মেজাজ এমনিতেই ভালো না তার পর আবার দেরি। অফিসে গিয়ে হাজার কৈফিয়ত দাও। কিন্ত পরে মনে হল, যা বলার বলুক। আমার কাজে যখন ত্রুটি নেই আর আমি সাধারণত লেট করিনা, তখন যদি কিছু বলে তাহলে আজ কথা শুনে যাবে। না শাটল আসল আর না ওর সাথে দেখা হল। মনে হল, আমার আগে এসে গেছে হয়তো, গাড়ি পেয়ে বেড়িয়ে গেছে। দেরি হতে দেখে একটা ট্যাক্সি বুক করলাম, কিন্তু সেখানেও ফেল। বুকিং ক্যান্সল করে দিল। মনে মনে বললাম- আজ কপালে শনি নাচ করছে। দুঃখ আছে। বাইক বুক করলাম আর লাইন থেকে বেড়িয়ে গেলাম। বাইকের টাইম দেখাল ৫ মিনিট। ঘড়িতে তখন বাজল ৯:২২। চোখ তুলে দেখলাম আর নজর পড়ল এক লাল সাড়ি পরে আসা মেয়ের ওপর। সেও আমাকে দেখতে পেল আর এগিয়ে আসল। কিছু অনুভূতি এমন হয়ে যা বলে বা লিখে বোঝানো যায়না। সেটা সেই মুহুর্তের মধ্যে সবকিছু দিয়ে চলে যায়। ওকে দেখতে পাওয়া সেই মুহুর্ত। আমি যেই ভাবে একদৃষ্টে ওর দিকে তাকিয়ে কি আমি ভুলে গেছি যে এই তো এত দিনের রাগ, অভিমান, অভিযোগ সব মিশিয়ে যাচ্ছে। ইচ্ছা করল, দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরি কিন্তু এই ইচ্ছা টা অনন্ত বার আমি নিজে চেপে দিয়েছি, ওর কথা ভেবে। দেখলাম ওর মুখে হাসি আছে কিন্তু যত বার দেখি তত বার ভাবি কি ওর ঠোঁটের হাসি ওর চোখের সাথে মিল খায়না। সেটা আজ না, বছর বছর ধরে দেখছি। হয়তো আমি ভুল, কিন্তু ওর পক্ষে আমি ভাবি একটু বেশি কেননা ও কম ভাবে। ও হল প্র্যাকটিক্যাল, বর্তমানে থাকা একটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট মেয়ে। অনেক সরল বুদ্ধি, কিন্তু কথায় পাড়া যায় না। সবাইকে বুঝিয়ে বেড়ানো আমি একমাত্র ওর কাছে গিয়ে হেরে যাই আর না ওকে বোঝাতে পারি। এইজন্য ওকে দেখলে ওর জিজ্ঞাসা করা একটাই প্রশ্ন মনে পড়ে- "কি হই আমি তোমার?" আমার সামনে আসতে ওকে ইশারা করলাম এগিয়ে যেতে কেননা ওর অনেক দেরি হয়ে গেছে। তাও ও কিছুক্ষণ দাড়াল আর তার পর এগিয়ে গেল। সবসময়ের মত ওকে যেতে দেখলাম। তখন একটা জিনিস মনে পড়ল। আমার দেরি না হলে হয়তো ওর সাথে এইটুকু দেখাও হত না। আসলে আমার দেরি হয়েনি। আমার এই অপেক্ষায় অসুবিধা হয়েছে কিন্তু শেষটা ভাল। শাটলের লাইন, ক্যাব ক্যান্সল হওয়া আর আমার অপেক্ষা করা, সব নিজের সময় মত হয়েছে। একটু ধৈর্য, একটু চেষ্টা আর একটু সময় দিতে হবে। জিনিস এখন অগোছালো হলেও ঠিক হয়ে যাবে। ওর মেসেজ আসল সাবধানে যাওয়ার জন্য। সেই ৫ সেকেন্ডের দেখা আমাকে আজ অনেকটা হালকা করে দিল ভিতর থেকে। যদি এইটুকু ওকে বোঝাতে পারতাম, হয়তো ওর কাছ থেকে আর একটু কিছু বেশি সময় নিতাম আরও কিছুটা বাঁচার জন্য। যাই হোক, আমি অফিসে এসে দেখলাম আমার ম্যনেজার আসেনি। সোনে পে সোহাগা! ঢুকতেই আমাকে বন্ধূরা জিজ্ঞাসা করল- "দেরি কেন হল রে?" মুখে হালকা একটা হাঁসি নিয়ে বললাম- "দেরি হয়নি, সঠিক সময় সঠিক জায়গায় ছিলাম।" ©Ananta Dasgupta

#Bengali

People who shared love close

More like this

Trending Topic