"না। আমি মরব না। এত তারাতারি আমার প্রান বেড়াবে না কিন্তু একজনের কাছে আমি হেরে গেছি ভাই। সবসময় চেষ্টা করি, ওর জন্য কিছু করার। ওকে ওর সামনে বলার, ও কি আমার জন্য। ওকে আগলে রাখার, ওকে বুকে জড়িয়ে ধরে ওর সমস্ত আবদার শোনার, একবার ওর কোলে মাথা রেখে শান্তির ঘুম দেওয়ার। তারপর যদি আমার চোখ আর না খোলে, তাহলেও কোনো আফসোস নেই। কিন্তু আমি এইটুকু নিয়ে বাঁচতে পারব ভাই।"
"যদি কিছু না পাস আর যদি ঈশা চিরকালের জন্য চলে যায়, এই শহর, এই দেশ ছেড়ে, তাহলে?"
সঙ্কল্পের এই প্রশ্নে একটা বজ্রপাত করল অয়নের মনে আর বৃষ্টি শুরু হল বাইরে। অয়ন চুপ হয়ে গেছে। বৃষ্টির জলে বহুদিন পরে অয়ন ভিজল। চোখ বন্ধ করে আকাশের প্রত্যেক মেঘের গর্জন লক্ষ্য করছে।
"এই শহর আমাকে খেয়ে ফেলবে। আমি কি করব, কিছু জানিনা। আমার ঈশা ছাড়া আর কেউ নেই। যদি ও না থাকে, তাহলে আমি নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলব। হয়তো বেঁচে থাকবো, কিন্তু কি ভাবে আর কতটা, জানিনা।" অয়নের ঝড় থামছে না।
"জানিস ভাই, আমি ওর থেকে কখনো কিছু চাইনি, ওর ভালোবাসা ছাড়া। কিন্তু সালা আমার কপাল দেখ। যেটুকু চেয়েছিলাম সেটাও পাইনি।" অয়ন হেঁসে উঠল।
"ওর কাছে আমাকে দেয়ার মত কিছু নেই। না সময়, না ভালোবাসা, না কথা, না মন।" অয়ন আকাশের দিকে অপলক তাকিয়ে রয়েছে।
"ঈশা চলে যাবে। সেও চলে যাবে। আমাকে সম্পুর্ন ফাঁকা করে দিয়ে চলে যাবে, বিনা কোনো দ্বিধা, বিনা কোনো চিন্তায়।" অয়ন কথা গুলো নিজেকে মনে করাচ্ছে।
"কেউ এতটা পাথর কেন হয়ে যায় ভাই, যেখানে নিজের ভালোবাসার মানুষকে এক মুহুর্তের জন্য আগলে রাখা যায়না? একবারের জন্য তাকে কাছে পাওয়া যায়না?" সঙ্কল্পের কাছে কোনো উত্তর নেই।
"তোর কাছেও জবাব নেই। বেশ ভালো। এই জন্যই বলেছিলাম, তুই বাড়ি যা।"
"দেখ, এবার বৃষ্টি নেমে...." অয়ন ঘুরে কথা শেষ করতে যাবে তখন দেখল পিছনে একটু দুরত্বে ঈশা দাড়িয়ে।
©Ananta Dasgupta
Continue with Social Accounts
Facebook Googleor already have account Login Here